“পাড়ার মেয়ে” শব্দ জোড়াটা আজকাল প্রায় উঠেই গেছে বলা চলে। কোন বাড়ির মেয়ে, বড়জোর। অর্থাৎ কিনা, বাবা কাকা কেউ যদি পলিটিক্সে থাকেন বা অন্তত সিভিল সার্ভিসে, অথবা ডাক্তার উকিল কিছু একটা পারিবারিক বংশপরাক্রমে। একটু বড় হলে কোন স্কুলে দিলে গো মেয়েকে, বা কোন কলেজে চান্স পেলো, কোন সাব্জেক্ট? আবার, আর একটু বড় হলে মিসেস হেনা তেনা কিছু একটা, যাবতীয় লিঙ্গ সাম্যের মুখে চুনকালি মাখিয়ে। অফিসের ব্যাপারটা আবার আলাদা, ডিপার্টমেন্ট দিয়ে নামে চেনা যায়, ভিজিটিং কার্ডে একঝলকেই আন্দাজ করে নেওয়া যা কি বা তাঁর পড়াশোনা, কদ্দুর কি ক্ষমতা। বাচ্চার স্কুলে সেই বাচ্চার মা, ওই যে, ছোট করে চুল কাটা, বা একটু মোটার দিকে চেহারা। পরিচয় অনেক রকমেরই হয় বইকি। সব কিছু পেরিয়ে আবার এও জানা হয়ে যায় যে পরিচয় শব্দটাই একটা আগাগোড়া ভুল ধারণা, পুরো জীবনটাই আসলে নিজেকে খুঁজে ফেরার অলি গলি পাকস্থলী। তবু…
তবু, এই বচ্ছরকার শীতকালের সময়টায় যে নিয়ম করে “ওমা, কবে এলি?“, হোক না মাত্র কটা দিনের জন্যই। অতীতের মায়া দিয়ে ঘেরা এই ব্যাক্তিচর্চা, এক নিশ্বাসে অনেকগুলো বছর অতিক্রম করে যায় চক্ষের নিমেষে। পাড়ার মেয়ে পরিচয়টা, আগের মতই এখনও, ডাকনামের উষ্ণতা নিয়ে ঘিরে থাকে আমার শীতকাল।
Published on December 07, 2016 23:18