আহনাফ তাহমিদ's Blog
November 29, 2023
আমার এক "অদ্ভুত" দুনিয়া
ড্রাগনফল গল্পটা লেখার পেছনে আমার আসলে তেমন কোনো উদ্দেশ্য নেই। একটা গুড ফিল, লাইট রিড আরবান ফ্যান্টাসি। জাস্ট দুটো জিনিস মাথায় নিয়ে লিখেছি। প্রথমটা হলো, এই ফলটা কেন যেন আমাকে বিস্মিত করে কোনো কারণ ছাড়াই। আর দ্বিতীয়টা হচ্ছে আমাদের দেশী একটা মিথকে ট্রিবিউট দেয়া। বান্দরবানের বগা লেক নিয়ে একটা ড্রাগন মিথ আমাদের দেশে প্রচলিত আছে। ব্যাপারটা অনেকেই হয়তো জানেন, অনেকে জানেন না। আমি মিথটা নিয়ে একটু ঘাঁটাঘাঁটি করেছি, কিন্তু খুব বেশি তথ্য সংগ্রহ করতে পারি নাই। চাকমা, মারমা, মুরং গোত্রদের মধ্যে এই মিথটা ভিন্ন ভিন্নভাবে প্রচলিত। এক জায়গায় একসাথে আনার কোনো উপায় নাই। আর বাকি থাকে আমার কল্পনা। সেটারই দ্বারস্থ হয়ে ড্রাগনফল গল্পটার জন্ম। কারও কাছে গল্পটা ভালো লেগেছে, কারও কাছে খুব একটা ভালো লাগে নাই, কারও কাছে মনে হয়েছে শিশুতোষ। যার কাছে যেমনই লাগুক, আমার কাছে মনে হয়েছে দেশী একটা মিথকে একজন লেখক হিসেবে সবার সামনে আনা উচিত, একটা ট্রিবিউট দেয়া উচিত, তাই দিয়েছি। সামনে এমন টপিক পেলে আরও লিখবো।
এবার আসি দেবং নিয়ে। অনেকেই এই গল্পটা পছন্দ করেছেন। পছন্দ করার সংখ্যাটাই বেশি। ফেসবুকে মাঝেমধ্যে আমি কিছু সিরিয়াস বিষয় নিয়ে লেখালেখি করি। তারমধ্যে একটা হলো প্যারেন্টিং প্রসেস। গুড প্যারেন্টিং, ব্যাড প্যারেন্টিং নিয়ে আমার দুই-একটা লেখা বেশ ছড়িয়ে পড়েছিলো। পক্ষে বিপক্ষে নানা তর্ক বিতর্ক। দেবং গল্পটার চরিত্র জাভেদ রহমানই মূলত আমার কাছে এই গল্পের প্রাণ। আমি এমন একটা খল চরিত্র তৈরি করতে চেয়েছি, যাকে নানা প্রসেসের মধ্য দিয়ে এমন একটা অবস্থায় আসতে হয়েছে। একটা খল চরিত্রেরও কিন্তু এই অবস্থায় আসতে একটা "মোটিভেশন" লাগে। পরিবার, পারিপার্শ্বিকতা, বুলিং ইত্যাদি নানা কারণ থাকে। হুট করেই কেউ একজন ভিলেইন হয়ে যায় না। দেবং গল্পটা বলতে পারেন আমার জন্য একটা নিরীক্ষাধর্মী কাজই বলা যায়। একজন খল কীভাবে খল হয়, কেনো খল হয়, সাইকোলজিটা আসলে কীভাবে কাজ করে- এই বিষয়গুলো ছোট্ট নভেলাটায় যদ্দূর সম্ভব আমার পক্ষে, তুলে ধরতে চেষ্টা করেছি। মূল ব্যাপারটা একটা ছোট্ট নভেলায় ফুটিয়ে তোলা কখনোই সম্ভব না, এবং সে দুঃসাহসও আমি করবো না। তবে চেষ্টা থাকবে সামনে আরও ভালো কাজ করার, আরও নানা দিক এক্সপ্লোর করার।
শুধু প্যারেন্টিং প্রসেসই না, সমাজের নানা গ্রে এরিয়াগুলো থেকে আমার সামনের মৌলিকগুলোতে খল বা এই ধরনের চরিত্রগুলো অনুপ্রেরণা পাবে। সেটা হোক থ্রিলার, কিংবা সামাজিক।
বাদবাকি থাকে পাঠক। কেউ ভালো বলবেম কেউ খারাপ বলবে। ভালো খারাপ যাই হোক, নিজের এই কাজটা নিয়ে আমি খুশি। অদ্ভুত
আমার অদ্ভুত দুনিয়ায় আপনাদের স্বাগতম 💓
এবার আসি দেবং নিয়ে। অনেকেই এই গল্পটা পছন্দ করেছেন। পছন্দ করার সংখ্যাটাই বেশি। ফেসবুকে মাঝেমধ্যে আমি কিছু সিরিয়াস বিষয় নিয়ে লেখালেখি করি। তারমধ্যে একটা হলো প্যারেন্টিং প্রসেস। গুড প্যারেন্টিং, ব্যাড প্যারেন্টিং নিয়ে আমার দুই-একটা লেখা বেশ ছড়িয়ে পড়েছিলো। পক্ষে বিপক্ষে নানা তর্ক বিতর্ক। দেবং গল্পটার চরিত্র জাভেদ রহমানই মূলত আমার কাছে এই গল্পের প্রাণ। আমি এমন একটা খল চরিত্র তৈরি করতে চেয়েছি, যাকে নানা প্রসেসের মধ্য দিয়ে এমন একটা অবস্থায় আসতে হয়েছে। একটা খল চরিত্রেরও কিন্তু এই অবস্থায় আসতে একটা "মোটিভেশন" লাগে। পরিবার, পারিপার্শ্বিকতা, বুলিং ইত্যাদি নানা কারণ থাকে। হুট করেই কেউ একজন ভিলেইন হয়ে যায় না। দেবং গল্পটা বলতে পারেন আমার জন্য একটা নিরীক্ষাধর্মী কাজই বলা যায়। একজন খল কীভাবে খল হয়, কেনো খল হয়, সাইকোলজিটা আসলে কীভাবে কাজ করে- এই বিষয়গুলো ছোট্ট নভেলাটায় যদ্দূর সম্ভব আমার পক্ষে, তুলে ধরতে চেষ্টা করেছি। মূল ব্যাপারটা একটা ছোট্ট নভেলায় ফুটিয়ে তোলা কখনোই সম্ভব না, এবং সে দুঃসাহসও আমি করবো না। তবে চেষ্টা থাকবে সামনে আরও ভালো কাজ করার, আরও নানা দিক এক্সপ্লোর করার।
শুধু প্যারেন্টিং প্রসেসই না, সমাজের নানা গ্রে এরিয়াগুলো থেকে আমার সামনের মৌলিকগুলোতে খল বা এই ধরনের চরিত্রগুলো অনুপ্রেরণা পাবে। সেটা হোক থ্রিলার, কিংবা সামাজিক।
বাদবাকি থাকে পাঠক। কেউ ভালো বলবেম কেউ খারাপ বলবে। ভালো খারাপ যাই হোক, নিজের এই কাজটা নিয়ে আমি খুশি। অদ্ভুত
আমার অদ্ভুত দুনিয়ায় আপনাদের স্বাগতম 💓
January 2, 2021
যেভাবে রিভিউ লিখি...
রিভিউ লিখবার সময় যেসব জিনিস দেখিঃ
প্রথমেই বলে নিচ্ছি, এখানে যা যা কিছু বলছি, সবই আমার ব্যক্তিগত মতামত। আমি লেখালেখিতে আসবার আগে প্রথমে রিভিউ দিয়েই হাতেখড়ি শুরু করি। এরপর ছোটগল্পে হাত দিই।
(এখন পুরোনো রিভিউগুলো পড়লে বুঝি কতটা কাঁচা ছিলাম। এখনও কাঁচাই আছি।)
রিভিউ লিখবার ক্ষেত্রে এখন যেসব জিনিস লক্ষ্য করি, সেগুলো নিয়ে একটু কথা বলি-
১) কন্টেন্টঃ বইটি কোন বিষয়ে লেখা, প্রথমে তা দেখি। এক্ষেত্রে কাহিনী সংক্ষেপটা বেশ সাহায্য করে। বইটির ভালো এবং খারাপ দিকগুলো কী, সেগুলো পয়েন্ট আকারে নিয়ে আসতে চেষ্টা করি।
২) বার্তাঃ লেখক তার বইতে কোন মেসেজ দিতে চাইছেন, সেটা বুঝতে চেষ্টা করি। সামাজিক, রাজনৈতিক ইত্যাদি নানা বিষয়ে যেসব অসংগতি আছে, সেগুলো যদি বইতে ফুটে আসে, সেগুলো দেখতে চেষ্টা করি। আমি মনে করি, বার্তা ছাড়া কোনো বই-ই লেখা সম্ভব না। সব বইতেই পাঠকদের উদ্দেশ্যে লেখকের কোনো না কোনো একটা মেসেজ থাকেই। সেটা কতটুকু শক্তিশালী হয়ে এসেছে, তা বুঝতে চেষ্টা করি।
৩) তুলনামূলক দৃষ্টিভঙ্গিঃ লেখকের বইটি যদি আমার পড়া দ্বিতীয় বা পরবর্তী বই হয়, তাহলে প্রথম বা আগের বইগুলো থেকে তিনি কতটুকু উন্নতি করেছেন, সেটা দেখতে চেষ্টা করি।
৪) বানান এবং ভাষাঃ বইতে ভাষার ব্যবহার আমি ব্যক্তিগতভাবে পছন্দ করি। ভাষার নানাবিধ প্রয়োগ আনন্দ দেয়। সেক্ষেত্রে ভাষার ব্যবহার আমার কাছে একটা প্লাস পয়েন্ট। একইসাথে বানানের দিকেও নজর রাখি। নিজের কাজেও এক্ষেত্রে সুবিধা হয়।
৫) নতুন কী জানলামঃ উপন্যাস বা ফিকশন কোনো সাধারণ জ্ঞানের বই নয়, এটা ধরে নিয়েই পড়তে বসি। তবুও নতুন কোনো তথ্য পেলে কিংবা জানতে পারলে একটু গুগলে ঘাঁটাঘাঁটি করা আমার স্বভাব। এক্ষেত্রে ঔপন্যাসিকের বই থেকে আমি নতুন কী জানতে বা শিখতে পারছি, তা ভাবতে চেষ্টা করি।
৬) আনুষঙ্গিকঃ বইয়ের প্রচ্ছদ, কাগজের মান, বাঁধাই, প্রচ্ছদশিল্পী সম্পর্কেও কিছু বলতে চেষ্টা করি।
৭) রেকমেন্ডেশন কিংবা রেটিংঃ অনেকে বইকে রেকমেন্ড করেন কিংবা রেটিং দেন। রেটিং পদ্ধতি আমি এক তারা দুই তারা এভাবে পছন্দ করি দশমিকে দেয়ার চেয়ে। তবে অনেক লেখক বা অনুবাদক আছেন যারা রেটিং দিলে খুব একটা ভালো চোখে নেন না। সেজন্য গুডরিডস-ই হয় আস্থার প্রতীক। তাই সাধারণত গ্রুপে কখনও রিভিউ দিলে চেষ্টা করি রেট না দেয়ার। ভালো না খারাপ লেগেছে, তাই বলে শেষ করে দিই।
ও হ্যা, অনুবাদের ক্ষেত্রেও একই জিনিস দেখি। তবে বার্তা এড়িয়ে যাই। লেখক কী বার্তা দিচ্ছেন, সেটার ওপর অনুবাদকের দায় থাকে না।
একজন পাঠক হিসেবে নিজের রিভিউ দেয়ার পদ্ধতিটা বললাম। চাইলে আপনারাও নিজেদের পদ্ধতিটা বলতে পারেন।
প্রথমেই বলে নিচ্ছি, এখানে যা যা কিছু বলছি, সবই আমার ব্যক্তিগত মতামত। আমি লেখালেখিতে আসবার আগে প্রথমে রিভিউ দিয়েই হাতেখড়ি শুরু করি। এরপর ছোটগল্পে হাত দিই।
(এখন পুরোনো রিভিউগুলো পড়লে বুঝি কতটা কাঁচা ছিলাম। এখনও কাঁচাই আছি।)
রিভিউ লিখবার ক্ষেত্রে এখন যেসব জিনিস লক্ষ্য করি, সেগুলো নিয়ে একটু কথা বলি-
১) কন্টেন্টঃ বইটি কোন বিষয়ে লেখা, প্রথমে তা দেখি। এক্ষেত্রে কাহিনী সংক্ষেপটা বেশ সাহায্য করে। বইটির ভালো এবং খারাপ দিকগুলো কী, সেগুলো পয়েন্ট আকারে নিয়ে আসতে চেষ্টা করি।
২) বার্তাঃ লেখক তার বইতে কোন মেসেজ দিতে চাইছেন, সেটা বুঝতে চেষ্টা করি। সামাজিক, রাজনৈতিক ইত্যাদি নানা বিষয়ে যেসব অসংগতি আছে, সেগুলো যদি বইতে ফুটে আসে, সেগুলো দেখতে চেষ্টা করি। আমি মনে করি, বার্তা ছাড়া কোনো বই-ই লেখা সম্ভব না। সব বইতেই পাঠকদের উদ্দেশ্যে লেখকের কোনো না কোনো একটা মেসেজ থাকেই। সেটা কতটুকু শক্তিশালী হয়ে এসেছে, তা বুঝতে চেষ্টা করি।
৩) তুলনামূলক দৃষ্টিভঙ্গিঃ লেখকের বইটি যদি আমার পড়া দ্বিতীয় বা পরবর্তী বই হয়, তাহলে প্রথম বা আগের বইগুলো থেকে তিনি কতটুকু উন্নতি করেছেন, সেটা দেখতে চেষ্টা করি।
৪) বানান এবং ভাষাঃ বইতে ভাষার ব্যবহার আমি ব্যক্তিগতভাবে পছন্দ করি। ভাষার নানাবিধ প্রয়োগ আনন্দ দেয়। সেক্ষেত্রে ভাষার ব্যবহার আমার কাছে একটা প্লাস পয়েন্ট। একইসাথে বানানের দিকেও নজর রাখি। নিজের কাজেও এক্ষেত্রে সুবিধা হয়।
৫) নতুন কী জানলামঃ উপন্যাস বা ফিকশন কোনো সাধারণ জ্ঞানের বই নয়, এটা ধরে নিয়েই পড়তে বসি। তবুও নতুন কোনো তথ্য পেলে কিংবা জানতে পারলে একটু গুগলে ঘাঁটাঘাঁটি করা আমার স্বভাব। এক্ষেত্রে ঔপন্যাসিকের বই থেকে আমি নতুন কী জানতে বা শিখতে পারছি, তা ভাবতে চেষ্টা করি।
৬) আনুষঙ্গিকঃ বইয়ের প্রচ্ছদ, কাগজের মান, বাঁধাই, প্রচ্ছদশিল্পী সম্পর্কেও কিছু বলতে চেষ্টা করি।
৭) রেকমেন্ডেশন কিংবা রেটিংঃ অনেকে বইকে রেকমেন্ড করেন কিংবা রেটিং দেন। রেটিং পদ্ধতি আমি এক তারা দুই তারা এভাবে পছন্দ করি দশমিকে দেয়ার চেয়ে। তবে অনেক লেখক বা অনুবাদক আছেন যারা রেটিং দিলে খুব একটা ভালো চোখে নেন না। সেজন্য গুডরিডস-ই হয় আস্থার প্রতীক। তাই সাধারণত গ্রুপে কখনও রিভিউ দিলে চেষ্টা করি রেট না দেয়ার। ভালো না খারাপ লেগেছে, তাই বলে শেষ করে দিই।
ও হ্যা, অনুবাদের ক্ষেত্রেও একই জিনিস দেখি। তবে বার্তা এড়িয়ে যাই। লেখক কী বার্তা দিচ্ছেন, সেটার ওপর অনুবাদকের দায় থাকে না।
একজন পাঠক হিসেবে নিজের রিভিউ দেয়ার পদ্ধতিটা বললাম। চাইলে আপনারাও নিজেদের পদ্ধতিটা বলতে পারেন।
Published on January 02, 2021 16:12